ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ব্যবসায়ীকে মারধর করে মহিষ ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ জুন) উপজেলার মির্জার বাজার পশুর হাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে বাদী হয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন দুলাল ছাগলনাইয়া থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরে মামলার প্রধান আসামি নুরুল আলম প্রকাশ বাচ্চু মিয়া এবং তার সহযোগী শাহীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা ছাগলনাইয়া পৌরসভার বাঁশপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাটে। তিনি চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন দুলাল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ৯টি মহিষ নিয়ে নোয়াখালী থেকে ছাগলনাইয়ার মির্জার বাজার পশুর হাটে যান তিনি। এ সময় সঙ্গে তার দুই কর্মচারী ছিলেন। গাড়ি থেকে মহিষ নামানোর সময় বাঁশপাড়া গ্রামের মহিষ ব্যাপারী নুরুল আলম বাচ্চু বাধা দেন। নোয়াখালীর মহিষ ছাগলনাইয়ার হাটে এলে তার মহিষ ব্যবসায় ধস নামবে, এমন যুক্তিতে তাদের বাধা দেন বাচ্চু। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে গাড়ি থেকে মহিষ নামান দুলাল। সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চু ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে তার মোবাইল ভেঙে ফেলেন। এ সময় ৯টি মহিষের মধ্যে একটি মহিষ জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বাচ্চুর সহযোগীরা। পরে খবর পেয়ে দক্ষিণ সতর এলাকায় থেকে ছিনিয়ে নেয়া মহিষটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। হাট থেকে ব্যবসায়ীর একটি মহিষ ছিনিয়ে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার দক্ষিণ সতেরো এলাকা থেকে সেটি উদ্ধার করেছে। হাটের ইজারাদার মেহেদী হাসান সাগর বলেন, ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। ছিনিয়ে নেয়া মহিষ পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছে। ইজারাদার হিসেবে আমি নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আর যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য প্রশাসনের আরো বাড়তি নজরদারির অনুরোধ করব।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, ছিনতাইকৃত মহিষ উদ্ধার করে মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাজার ইজারাদার বা বিক্রেতা লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ