ভারত থেকে এলো ৬৭৭ টন কাঁচা মরিচ, কেজি ১২০ টাকা - ভোরের সময় অনলাইন ভারত থেকে এলো ৬৭৭ টন কাঁচা মরিচ, কেজি ১২০ টাকা

বেকিং নিউজ

[getTicker results="10" label="random" type="ticker"]

Header Adds


ভারত থেকে এলো ৬৭৭ টন কাঁচা মরিচ, কেজি ১২০ টাকা



দেশের বাজারে কিছুতেই কমছে না কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ। দাম নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণে ভারত থেকে আবারও কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। গত দুই দিনেই ৫৭ ট্রাকে ভারত থেকে দেশে ঢুকেছে ৬৭৭ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ।



মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) যশোরের শার্শার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২৮ ট্রাকে ঢুকেছে ৩২৩ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ। ছবি: সময় সংবাদ


এরমধ্যে যশোরের শার্শার বেনাপোল বন্দর দিয়ে সোমবার (১৪ অক্টোবর) ২৯ ট্রাকে ৩৫৪ মেট্রিক টন ও মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ২৮ ট্রাকে ঢুকেছে ৩২৩ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ। অনান্য খরচ মিলিয়ে যার কেজি ১২০ টাকার বেশি পড়ার কথা নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।


বন্দর থেকে সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি টনের আমদানিমূল্য ৬০ হাজার টাকা। আমদানি শুল্ক প্রায় ৩৬ হাজার টাকা হিসাবে প্রতি কেজির আমদানি মূল্য ৬০ টাকা এবং শুল্ক ৩৬ টাকা। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে কেজি ১২০ টাকার বেশি পড়ার কথা নয়। তবে ভারতেও দাম বৃদ্ধির কারণে কাঁচা মরিচ দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে।


জানা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে নিচু জমি ডুবে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দেয়। আর এ সময় কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারে মরিচের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে এক সপ্তাহ ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।


এতে সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষ বিপাকে পড়ছেন। কাঁচা মরিচের লাগামহীন এ বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশেষে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করে সরকার। তবে গেল বছরে সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচা মরিচের বাজার বেড়ে কেজি ১০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল।


মফিজুর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, আমদানিমূল্যের অনেক বেশি দামে তাদের মরিচ কিনতে হচ্ছে। আমদানি করা কাঁচা মরিচ যাতে সিন্ডিকেটের হাতে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।


কাঁচা মরিচ আমদানিকারকের প্রতিনিধি উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘বন্দর থেকে খালাসের পরপরই দেশের অভ্যন্তরে দ্রুত মরিচ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আমদানি করা এ মরিচ রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আমদানি এভাবে বাড়তে থাকলে বাজারে দাম কমবে।’


বেনাপোল উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী পরিচালক হেমন্ত কুমার সরকার জানান, কাঁচা মরিচের মান পরীক্ষা শেষে খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বন্দর থেকে দুইদিনে ৬৭৭ টন মরিচ খালাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে।



এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ