গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে স্মৃতি রানী পালকে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রবিবার (৩ নভেম্বর ২০২৪) সামাজিক সংগঠন ‘আমরা গৌরীপুরবাসী’ এর উদ্যোগে পুরাতন সোনালী ব্যাংক কৃষ্ণচূড়া চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। স্মৃতি রানী পাল গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের সুনীল চন্দ্র পালের কন্যা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্মৃতি রানী পালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা হৃদয়বিদারক ও অমানবিক। তারা উল্লেখ করেন, ১৮ মাসের শিশুর মায়ের বুকের দুধ কেড়ে নিয়েছে ঘাতকরা। এ ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়।
গৌরীপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. রইছ উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ গৌরীপুর শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মন্ডল, কালিখলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ পিলু, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কমল সরকার, সহসভাপতি আলী হায়দার রবিন, এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মো. ফারুক আহম্মেদ, ওবায়দুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান বুরহান, শামীম আলভী, শ্যামল ঘোষসহ অন্যান্যরা।
শ্রীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, স্মৃতি রানী পাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নিহতের স্বামী কাব্য সরকার (২৬), মামা নিমাই সন্নাসী (৫৫), এবং মামী বেলী সরকার (৪০)।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী কামারপাড়ায় গত সোমবার (২৮ অক্টোবর ২০২৪) রাতে স্মৃতি রানী পালকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহতের বাবা সুনীল চন্দ্র পাল পরদিন শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্মৃতি রানী ও কাব্য সরকারের তিন বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের ১৮ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। হত্যার রাতে স্মৃতি রানী তার বাবাকে ফোন করে জানান, স্বামী কাব্য সরকার ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কিছুক্ষণ পর কাব্য ফোনে শ্বশুরকে হাসপাতালে আসার কথা বলেন, যেখানে স্মৃতি রানীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
0 মন্তব্যসমূহ