জামিন পেলেন পূর্বধলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল। - ভোরের সময় অনলাইন জামিন পেলেন পূর্বধলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল।

বেকিং নিউজ

[getTicker results="10" label="random" type="ticker"]

Header Adds


জামিন পেলেন পূর্বধলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল।



খন্দকার শাহিন পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ, পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নেত্রকোনা এন আকন্দ কামিল মাদ্রাসার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তানজির আহমেদ মাহমুদ নামে এক তরুণকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরতর আহত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পূর্বধলা উপজেলার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল নিয়মিত জামিন পেয়েছেন। নেত্রকোনার ১ নম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট এর বিচারক (পূর্বধলা আমলী আদালত) আশরাফুন নাহার সোমবার (২৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।

নেত্রকোনা জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী মোঃ আল-আমিন হোসেন জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এডভোকেট মোঃ আল-আমিন হোসেন জানান, মামলার বাদী তানজির আহমেদ মাহমুদ আদালতে জামিনের ব্যাপারে আপত্তি না করায় আদালত তাকে নিয়মিত জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট দুপুরে উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের জালশুকা-শ্যামগঞ্জ বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নেত্রকোনা এন আকন্দ কামিল মাদ্রাসার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তানজির আহমেদ মাহমুদ নামে এক তরুণকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরতর আহত করার অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেনসহ সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, এই মামলায় এজাহারভুক্ত ২৫ জনের নামের তালিকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল এর নাম না থাকায় অজ্ঞাত নামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বাদী তানজির আহমেদ মাহমুদ দুর্গাপুর উপজেলার চকপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

গত ২৬ অক্টোবর রাতে নেত্রকোনা এন আকন্দ কামিল মাদ্রাসার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তানজির আহমেদ মাহমুদ বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলায় ২৪ নভেম্বর রাতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম ফয়জুর সিরাজ জুয়েলকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে পূর্বধলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরের দিন সোমবার গ্রেফতার দেখিয়ে নেত্রকোনা কোর্টে প্রেরন করে পুলিশ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ