কক্সবাজার-ইনানীতে নির্মিত দেশি-বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় নৌবাহিনীর জেটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন - ভোরের সময় অনলাইন কক্সবাজার-ইনানীতে নির্মিত দেশি-বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় নৌবাহিনীর জেটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

বেকিং নিউজ

[getTicker results="10" label="random" type="ticker"]

Header Adds


কক্সবাজার-ইনানীতে নির্মিত দেশি-বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় নৌবাহিনীর জেটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন



মিজানুর রহমান,কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানী সৈকতে দেশি-বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় নৌবাহিনীর ভেঙে পড়া জেটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মোহাম্মদ শফির বিল এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।

ইনানী পর্যটন শিল্প উন্নয়ন জোটের উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধনে স্থানীয় ছাত্র-যুব সমাজ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার নিয়ে অংশগ্রহণ করে। প্রথমে সেখানে মানববন্ধন; পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

জালিয়াপালং ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শফির সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন বৃহত্তর ইনানী এলাকার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, পরিবহন শ্রমিক প্রতিনিধি সৈয়দ উল্লাহ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রতিনিধি আবুল কালাম, ছাত্র-যুব প্রতিনিধি মো. আল আমিন।

বক্তারা বলেন, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক নৌমহড়া উপলক্ষে উখিয়ার ইনানী এলাকায় নৌবাহিনী একটি জেটি নির্মাণ করে। নৌমহড়া শেষে নির্মিত এই জেটি দিয়ে সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়। এতে যাতায়াত সহজ হয়ে ওঠে।

অপরদিকে দৃষ্টিনন্দন এই জেটিকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর ইনানী এলাকায় গড়ে উঠে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে বিভিন্ন খাতে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়।

কিন্তু ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাগরের ঢেউয়ের প্রচণ্ডতায় সংস্কারকাজে নিয়োজিত একটি বার্জের ধাক্কায় জেটির একটি অংশ ভেঙে যায়। এ ঘটনার সাত দিন পরও জেটির সংস্কারকাজ শুরু না করায় সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ চলাচলে বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শফি বলেন, “জেটিটি ঘূর্ণিঝড়ের সময় ভেঙে যাওয়ার পর থেকে পরিবেশ ধ্বংসের দোহাই দিয়ে কয়েকটি সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এতে ওই সংগঠনগুলো জেটি ভেঙে ফেলার দাবি করছে।”

তিনি বলেন, “জেটি বন্ধ হয়ে গেলে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। জেটি চালু হওয়ার পর থেকে বৃহত্তর ইনানী এলাকায় প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটছে। এখন জেটি বন্ধ হয়ে গেলে হাজারো মানুষ বেকার হয়ে পড়বে।”

সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে জেটি নির্মাণের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল।

২০২২ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেছিলে জেটি অপসারণের জন্য।

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন জানান, আদালতের রুল জারির পরেও জেটি অপসারণ করা হয়নি।

এদিকে গত বছর থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ আসা-যাওয়া করছিল ওই জেটি দিয়ে। আগামী ১ নভেম্বর থেকেও জেটি দিয়ে দ্বীপে যাতায়াতের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল জাহাজ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে।

গেল ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাগরের ঢেউয়ের প্রচণ্ডতায় সংস্কারকাজে নিয়োজিত একটি বার্জের ধাক্কায় জেটির একটি অংশ ভেঙে যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ