আঃ আজিজ দিনাজপুর প্রতিনিধি: জীর্ন-শীর্ণ পোশাকে বাদামের ডালি গলায় ঝুলিয়ে গ্রাম থেকে গঞ্জে এমনকি শহরের অলিতে গলিতে বাদাম বিক্রি করে ৮ বছরের শিশু ফাওমিদ। বাদাম বিক্রি টাকায় চলে ফাওমিদের ৫ জনের সংসার। ১ দিন বাদাম বিক্রি করে আয় না করলে পরিবারের সবাইকে অনাহারে থাকতে হয়। তাই জীবন জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন ছুটতে হয় এই অদম্য শিশু ফাওমিদকে।
শিশু ফাওমিদ বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার টুকুরিয়া ইউনিয়নের ছাতুয়া গ্রামের মৃত রাজু মিয়ার ছেলে। ফাওমিদের বয়স যখন ৫ বছর তখন রাজু মিয়া মারা যান। তখন থেকেই ফাওমিদকে বাদামের ডালি গলায় ঝুলিয়ে আয় করে সংসার চালাতে হয়। ফাওমিদের সংসারে বর্তমানে তাঁর মা, ৩ বছরের ছোট ভাই ও বৃদ্ধ দাদা ও দাদী রয়েছেন।
ফাওমিদ জানায়, পবিরারে উপার্জন করার মত আমি ও আমার মা ছাড়া আর কেউ নেই। দাদা ও দাদী বৃদ্ধ, কোন কাজ কর্ম করতে পারেনা। অন্যদিকে আমাদের কোন জমি জমা নেই। ভারী কোন কাজ না করতে পারায় বাদাম বিক্রিকে বেছে নিয়েছি। আমি ও আমার মা মিলে বাদাম ভেজে বিক্রির উপযোগী করি প্রতিদিন। সেই বাদাম নিয়ে বিভিন্ন দিন বিভিন্ন শহরে বিক্রি করতে যাাই। তবে পীরগঞ্জ, রংপুর, শটিবাড়ী, ভেন্ডাবাড়ী, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, খালাসপীড় বেশি বাদাম বিক্রি করে থাকি।
ফাওমিদ আর জানায়, প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কেজি বাদাম বিক্রি করে থাকি, তাতে যে আয় হয় তা দিয়ে কোন মতে আমাদের সংসার চলে। লেখাপড়া করার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও করতে পারিনা। ক্লাস থ্রী পর্যন্ত পড়েছি। তবে বিশেষ সুযোগ সুবিধা পেলে আবার পড়ালেখা করতে ইচ্ছুক। টুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, ফাওমিদের দারিদ্রতা দেখে আমি তাঁর মাকে মাসে ৩০কেজি চালের একটি কার্ড দিয়েছি। ভবিশ্যতে সুযোগ পেলে আরও সহযোগিতা করবো।
আজকেরদৈনিক বিজয় বাংলাদেশ পএিকার নিউজ।
0 মন্তব্যসমূহ