নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ কলমাকান্দা উপজেলায় নাজিরপুর ইউনিয়নের গাংধরকান্দা গ্রামের বেলা জানবিলের পুকুর হতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাছ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া যায়। আসামিরা হলো উলুয়াটির গ্রামের মৃত. আ:রশিদের ছেলে মো. গণি মিয়া ওরফে আতাউর গণি (৫০) ও জামাল(৩০) ,গাংধরকান্দা গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে আওয়াল মিয়া(৪০), রাতকান্দা গ্রামের আ: রশিদের ছেলে দুদু মিয়া(৭০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা উপজেলা নাজিরপুর ইউনিয়নের পাঁচকাঠা গাংধরকান্দা গ্রামের গাছতলা ২০ মৌজায় জেএলস্থির ৯০ খতিয়ানের হাল ৬৮ দাগে ২.০০ একর ভূমি বাদির পৈতৃক উত্তরাসূরী মূলে ৬ ভাই বোন ও মালিকানা সূত্রে ৮০ খতিয়ানে ৬৮ হাল দাগে ৩২ শতাংশ জমি ৩ ভাইয়ের ক্রয় সূত্রে। এছাড়াও ১ খতিয়ানের ১৬৫ (xii)১৯৫৯-৬০ ও বন্দোবস্ত দলিল মূলে ৩৯ দাগে ৯৭ শতাংশ জমি। পিতার মৃত্যুর পর দীর্ঘ ১৭ ধরে ভোগ করে যাচ্ছেন বাদীসহ ২ ভাই।
৫ ই আগস্টের পর হতে বিবাদীরা বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন খুন করার হুমকি দিয়ে দখলের পাঁয়তারা করছে।এ নিয়ে নেত্রকোণা আদালতে মামলা -৪৪৫/২০২৪ করা হয় । সে সময় আদালতে আসামি একই ব্যক্তিরা জমি নিয়ে কোন শান্তিভঙ্গ করবে না অঙ্গীকার করে ২৫ নভেম্বর আদালতে মুছলিকা দেয়।তারপরেও আসামিরা পুকুরে পানি সেচিয়া মাছ ধরতে বাঁধা দেয় ২১ ডিসেম্বর গাছতলা গ্রামে পুকুরে সেচ দেওয়ার সময় প্রকাশ্যে জমির দখলসহ খুন গুমের হুমকি দিয়েছে গণিরগং ।এতে কলমাকান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দেওয়ার পরেও ১৫০- ২০০ জন বিএনপির লোকজন এসে মাছ লুটপাট করে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।
এ নিয়ে বাদি জহুর আলী বলেন, আমরা এ পুকুরে প্রায় পূর্বপুরুষ থেকে ভোগ করে আসছে এদিকে কিনা এবং বন্দোবস্ত জমি রয়েছে প্রায় ২ একর মত । ৫ই আগস্ট এর পর হতে আসামিরা পুকুর দখলের পাঁয়তারা করে আসছে মামলা হয়েছে তবুও এদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাচ্ছেন বাদি। তার পরেও ২১ ডিসেম্বর পুকুর সেচিয়া গেলে লাঠি সোটা নিয়ে এসে খুন গুমের হুমকি দেয় এবং সেচির কাজে বাঁধা দেয় ।এতে করে ২১ ডিসেম্বর কলমাকান্দা থানায় একটা অভিযোগ করা হয় । অভিযোগ দেওয়ার পরের দিন বাদির অনুপস্থিতিতে ১৫০-২০০ জন বিএনপি লোকজন নিয়ে এসে পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যায় ।
এদিকে পুলিশকে বারবার ফোন দিলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বরং ওসি বলে তাদের নাকি হাত-পা বাঁধা তাই তারা কিছু করতে পারবে না। অভিযোগ দেওয়ার পরেও তারা এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে আসেনি। লুটপাট ঘটনার কলমাকান্দা উপজেলার বিএনপি ইউনিয়ন ,ওয়ার্ড বিএনপি নেতাদের নেতৃত্বে এই লুটপাট এর ঘটনাটি ঘটে এতে করে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা মাছ লুট হয়েছে । তিনি আরো বলেন,গত ছয় মাস যাবৎ খাবার দিয়ে মাছগুলোকে আটকানো হয়েছে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১০ লাখ টাকার মত মাছ হতো বলে তারা আশাবাদী কিন্তু সন্ত্রাসীদের এমন ঘটনায় তারা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং প্রশাসনের কাছে লুটপাট হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে সন্তুষ্ট বিচারের দাবি করেন।
এদিকে বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি ফুল মিয়া জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দখল করে আছে জহুর আলীরা প্রকৃত মালিক আতাউর গণি সে তাদের অত্যাচারে এলাকায় থাকতে পারেনি বিভিন্ন সময় মামলা দিয়েছে। এখন দেশ স্বাধীন হয়েছে তাই গণি মিয়া বিএনপি নেতাদের কাছে যায় তখন ৪বার সালিশ হয় কিন্তু বাদি জহুর আলী সালিশে যায় নি। তখন সালিশের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত হয় কেউ সেখানে যেতে পারবে না বারবার কথা ভঙ্গ করছে। লোড করার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন লুট হয়নি এলাকাবাসী গিয়ে শুধু পানি ছেড়েছে।
এক নাম্বার বিবাদী আতাউর গণি এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ,তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকে তার জায়গায় বাদিরা আওয়ামী লীগের আমল থেকে দখল খাচ্ছে । তার নামে ৪টি মামলা দিয়েছে এলাকায় তাদের জন্য থাকতে পারেনি । এলাকায় যেতে পারেননি।
এদিকে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন লুটের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়া যায় তদন্ত করেও এসেছে পাদি জহুর আলীকে কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছিল কিন্তু এখনো আসেনি। ঘটনার সময় বারবার ফোন দেওয়ার পরেও কেন ধরে নি সে প্রশ্ন তিনি বলেন তিনি সেনাবাহিনী পাঠিয়েছেন এদিকে মাছ রুটের বিষয়টি তিনি ২৭ ডিসেম্বর উভয়পক্ষে কে কাগজ পত্র নিয়ে আসার জন্য বলেছেন ।
তখন সামাজিকভাবে আলোচনা করে বিষয়টা দেখবেন। এদিকে ইনচার্জকে কয়েকটি প্রশ্ন করায় তিনি বিরক্ত হয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, "আপনারা বড় ধরনের ঝামেলা লাগাবেন " সামাজিক বিষয় সামাজিকভাবেই শেষ করা ভালো। পরিশেষে তিনি বলেন সরেজমিনে গিয়ে তিনি নিজেই বিষয়টি দেখবেন
তানজিলা আক্তার রুবি। নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
0 মন্তব্যসমূহ