শ্যামগঞ্জে সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে আহত অর্ধশত: নদী খনন বন্ধ নিয়ে উত্তেজনা। - ভোরের সময় অনলাইন শ্যামগঞ্জে সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে আহত অর্ধশত: নদী খনন বন্ধ নিয়ে উত্তেজনা।

বেকিং নিউজ

[getTicker results="10" label="random" type="ticker"]

Header Adds


শ্যামগঞ্জে সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে আহত অর্ধশত: নদী খনন বন্ধ নিয়ে উত্তেজনা।



গৌরীপুর, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার মধ্যবর্তী শ্যামগঞ্জ বাজারে সোয়াই নদী খননের কাজ দেখতে আসা সাধারণ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগণের ওপর সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, গত ১৯ মার্চ বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।


"সচেতন শ্যামগঞ্জবাসী" সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল হোসেন জানান, ১৭ মার্চ রাত সাড়ে তিনটার দিকে গৌরীপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সদস্যরা এসে সোয়াই নদীর খননকাজ বন্ধ করে দেন। পরদিন সকালে তারা গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম সাজ্জাদুল হাসানের সঙ্গে দেখা করলে তিনি জানান, হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত নির্দেশনা না আসায় তিনি মৌখিকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। এরপর বিকেলে পুনরায় খননকাজ শুরু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নদী খননের কাজ দেখতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে বাজারের ব্যবসায়ীরা জড়ো হলে গৌরীপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সদস্যরা কোনো সতর্ক সংকেত না দিয়েই অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ শুরু করেন। এতে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও আহত হন। তোফাজ্জল হোসেন দাবি করেন, লাঠিচার্জে তার হাত ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে।


পূর্বধলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও গোহালাকান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির মো. সায়েদ আল মামুন শহীদ বলেন, "সেনাবাহিনীর এমন আচরণ আমরা প্রত্যাশা করি না। মধ্যরাতে সাধারণ মানুষের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।"

শ্যামগঞ্জ বাজার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নদীর খননকাজ দেখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেনাবাহিনী অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে আজ আমরা ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখেছি এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।"


ময়মনসিংহ উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুপ্লব বলেন, "দখলদাররা সেনাবাহিনীকে ভুল বুঝিয়েছে। তাদের বাড়িঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো হামলা হয়নি। উল্টো সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।"


কৃষক দল নেতা আনিসুজ্জামান আনিস বলেন, "নদী খননকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।"


শ্যামগঞ্জবাসীর আহ্বায়ক এস এম ঋজু জানান, "পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নদীর খননকাজ চলছিল। অথচ সেনাবাহিনী রাতের আঁধারে এসে বারবার কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে।"


এ বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, "আমি সবসময় এলাকাবাসীকে নদী খননে উৎসাহিত করেছি। তবে সেনাবাহিনী কেন কাজ বন্ধ করেছে, তা বলতে পারছি না। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে আলোচনা করেছি।"


গৌরীপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্পের মেজর সাদমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তিনি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন।

মোঃ মোসালিন গৌরীপুর প্রতিনিধিঃ
মোবাইল 01708561341

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ