শ্যামগঞ্জে সোয়াই নদী খননের দাবিতে গণশুনানি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা - ভোরের সময় অনলাইন শ্যামগঞ্জে সোয়াই নদী খননের দাবিতে গণশুনানি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

বেকিং নিউজ

[getTicker results="10" label="random" type="ticker"]

Header Adds


শ্যামগঞ্জে সোয়াই নদী খননের দাবিতে গণশুনানি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা



মোঃ মোরসালিন, পূর্বধলা, নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা জেলার শ্যামগঞ্জে সোয়াই নদীর অসমাপ্ত এক কিলোমিটার খনন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ মার্চ (বুধবার) নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অংশ নেন।


২০২৪ সালে সোয়াই নদীর ৪৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ২০ মিটার প্রস্থ পুনঃখননের জন্য ২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ শেষ হলেও গৌরীপুর উপজেলার পশ্চিম মইলাকান্দা ইটের বাটা থেকে পূর্বধলার হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ গেট পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশ এখনো খনন করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী এই অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।


গত ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীরা শ্যামগঞ্জে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে গৌরীপুর ও পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও সমাধান আসেনি, যা জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন— নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান, গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম সাজ্জাদুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনন্দা সরকার, পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়াও বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি এবং সচেতন নাগরিক সমাজের অনেকে অংশ নেন।


এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "এক বছর ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতির কারণে একটি প্রবাহমান নদীর মাঝখানের এক কিলোমিটার অংশ গায়েব হয়ে গেছে! এই অন্যায় আর সহ্য করা হবে না।"


গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, "অনেক কিছু চুরি হতে দেখেছি, কিন্তু নদী চুরি হওয়ার ঘটনা এই প্রথম দেখলাম।" তিনি আশ্বস্ত করেন যে, প্রশাসন সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, কিছু ব্যক্তি জমির মালিকানা দাবি করে খনন কাজে বাধা দিচ্ছেন। তাদের লিখিতভাবে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা গণশুনানিতে উপস্থিত হননি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুনরায় চিঠি পাঠিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গণশুনানিতে বক্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে যদি নদী খননের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।


সচেতন শ্যামগঞ্জবাসীর আহ্বায়ক এস এম ঋজু আহমেদ বলেন, "৫ আগস্টের আগে ৪ আগস্ট আমরা শ্যামগঞ্জ স্বাধীন করেছিলাম। এবার যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস ঘেরাও করব এবং মহাসড়ক অবরোধ করব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ